বিলিরুবিন কি | বিলিরুবিন তৈরি হয় কোথায়

বিলিরুবিন হলো একটি প্রাথমিক রঙিন জলীয় পিগমেন্ট, যা লাল বর্ণের হয়। এটি হেমোগ্লোবিন এবং ম্যাইওগ্লোবিনের পরিণতির ফলে উৎপন্ন হয়। হেমোগ্লোবিন হলো লোহিত প্রোটিন যা রক্তের রক্তকণিকার অধিকাংশ পরিবহন করে। হেমোগ্লোবিন পরিবহন করার পর, তা ধীরে ধীরে বিপরিবর্তিত হয় এবং তারপর তার সাথে একটি প্রোটিন মোলিকুল থাকা থেকে বিলিরুবিন উৎপন্ন হয়। বিলিরুবিন অনেক সাধারণভাবে মূত্র এবং পিত্তে প্রস্তুতির প্রক্রিয়া দ্বারা শরীর থেকে বেরিয়ে আসে।

বিলিরুবিন শরীরের বাহিরে বেরিয়ে আসার পর, এটি গালব্ল্যাডারে সংগ্রহ হয় এবং তারপর পিত্তে রূপান্তরিত হয়। পিত্তে থাকা বিলিরুবিন আবশ্যিক অবশিষ্ট হিসেবে বাহিয়ে আসা হয়। এই প্রক্রিয়া সাধারণত সফলভাবে ঘটলে, পিত্তে থাকা বিলিরুবিন খুব কম পরিমাণে থাকে। তবে, যদি বিলিরুবিনের প্রসারণ বা পিত্তের প্রসারণে সমস্যা হয়, তবে বিলিরুবিনের পরিমাণ বাড়ে এবং এটি শরীরের বিভিন্ন অংশে জমা হতে থাকে, যা রঙ হালকা লাল-হলুদ রঙের স্কিনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা জনপ্রিয়ভাবে পীলিয়া বা জন্ডিস বলে। এই জন্ডিস নামক অবস্থা সাধারণত কোনও গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নয়, তবে কিছু পরিস্থিতিতে এটি মৌলিক চিকিৎসা প্রয়োজন করে যেমন নবজাতক শিশুদের জন্ডিস বা অন্যান্য সংক্রামণ বা মধ্যম-অধ্যয়নে ব্যবহার হতে পারে। 

বিলিরুবিন কি | বিলিরুবিন তৈরি হয় কোথায়

বিলিরুবিন এর কাজ কি

বিলিরুবিনের প্রাথমিক কাজ হলো হেমোগ্লোবিন এবং ম্যাইওগ্লোবিন নামক প্রোটিনের পরিণতি বা উচ্চতার নাম দেওয়া পরিণতি উৎপন্ন করা। এই প্রোটিন শরীরের রক্তকণিকার অংশে থাকে, যা অক্সিজেন পরিবহন করে। পরিণতির প্রস্থত হওয়ার পর, এগুলি প্রাথমিকভাবে বিলিরুবিনে পরিণত হয়।

বিলিরুবিনের অন্যান্য কাজ হলো

বিলিরুবিনের অণুজীবন প্রণালীর পরিবর্তন বিলিরুবিনের প্রাথমিক অংশগুলি গালব্ল্যাডারে পাঠানো হয় এবং সাধারণত পিত্তে নিষ্ক্রিয় করা হয়।

বিলিরুবিনের উত্সাহিত হয়ে পরিণতির পরিণাম বিলিরুবিন যখন উত্সাহিত হয়ে পরিণতির পরিণামে পিত্তে বাহির হয়, তখন এটি বায়ুমাধ্যমে কীটাণু ও অন্যান্য জীবাণুগুলির বিরুদ্ধে কাজ করতে সাহায্য করে।

বিলিরুবিনের বাহিরে প্রেরণ সাধারণত বিলিরুবিন পিত্তে প্রেরণ করা হয়, যা পরিবাহিত হয় গালব্ল্যাডার ও পেটের মধ্যে ওই পরিবাহক নামক নামের অংশে।

সুতরাং, বিলিরুবিনের প্রাথমিক কাজ হলো পরিণতি প্রস্তুতির পরিণতি তৈরি করা, এবং এর পরে এটি শরীর থেকে বেরিয়ে আসা হয় এবং কোনও অবশিষ্ট বা অসমাপ্ত প্রসারণে অংশগুলি সংগ্রহ করা হয় এবং তাদের অবশিষ্ট অবস্থা থেকে সহায়তা করা হয়।

বিলিরুবিন কেন বাড়ে

বিলিরুবিনের পরিমাণ বাড়াতে কয়েকটি কারণ হতে পারে:

1. **রক্ত প্রসারণের ব্যাধি**: যে কোনও অবস্থায়, রক্ত প্রসারণের সমস্যা বিলিরুবিনের পরিমাণের বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। যেমন, গালব্ল্যাডারে স্থানান্তরিত কিংবা অন্যান্য কারণে আটকে পড়া পাথরী বা যকৃতের সমস্যা জনিত হতে পারে যা প্রসারণের পথটি ব্লক করে। এই প্রসারণের ব্যাধির কারণে রক্ত পিত্তে প্রসারণের পথ অস্বচ্ছ হয় এবং বিলিরুবিনের পরিমাণ বাড়তে থাকে।

2. **হেমলাইটিক অনুপ্রবণতা**: হেমলাইটিক অনুপ্রবণতা হলো রক্ত প্রসারণের পথে হুমা দ্রবণ বা হেমোগ্লোবিনের পরিমাণের বৃদ্ধি হতে থাকে, যা বিলিরুবিনের পরিমাণ বাড়াতে পারে। এটি অনেক ধরণের অক্সিজেন পরিবাহী প্রতিক্রিয়ার ফলাফলে হতে পারে, যেমন সিকলিক হেমোগ্লোবিন সাইক্লাস, জিনিং ভূক্ত হেমোগ্লোবিন, পীরওক্সিডিসেশন বা হেমোলাইটিক অনুপ্রবণতার কারণে হুমা দ্রবণ বা হেমোগ্লোবিনের পরিমাণের বৃদ্ধি।

3. **বিলিরুবিনের উত্সাহিত হওয়া**: প্রাকৃতিকভাবে বিলিরুবিনের প্রস্তুতির পরিণামে হিমবর্ণ জলাবন্ত দ্রবণ অধিক উত্সাহিত হতে পারে। এই প্রস্তুতির পরিণামে বিলিরুবিনের পরিমাণ বাড়ে এবং এটি জন্ডিস নামক অবস্থার উৎপাদনে উপযোগী হতে পারে।

4. **হেমলাইটিক প্রস্তুতির অসমর্থতা**: যখন হেমলাইটিক প্রস্তুতির পথে অসমতকৈ বা দেরিতে প্রস্তুতি হয়, বিলিরুবিনের পরিমাণ বাড়তে পারে।

এই সমস্যাগুলির ফলে বিলিরুবিনের পরিমাণ বাড়ে এবং এটি শরীরের বিভিন্ন অংশে জমা হতে পারে, যা রঙ হালকা লাল-হলুদ রঙের স্কিনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা জনপ্রিয় ভাবে জন্ডিস বা পীলিয়া বলে।

বিলিরুবিন তৈরি হয় কোথায়

বিলিরুবিন প্রাথমিকভাবে হেমোগ্লোবিন এবং ম্যাইওগ্লোবিনের পরিণতির ফলে উৎপন্ন হয়। এই প্রোটিনের উচ্চতার নাম দেওয়া পরিণতির প্রস্তুতি পরিণতি এবং এর পরে বিলিরুবিন উৎপন্ন হয়। পরিণতির প্রস্তুতির পর, হেমোগ্লোবিন এবং ম্যাইওগ্লোবিনের অংশগুলি ধীরে ধীরে বিপরিবর্তিত হয় এবং একটি প্রোটিন মোলিকুল থাকা থেকে বিলিরুবিন উৎপন্ন হয়।

বিলিরুবিন পরিমাণ সাধারণত বিপর্যস্ত স্থানান্তরিত হতে শুরু হয়, যেমন গালব্ল্যাডার, যেখানে এটি গ্রহণ করা হয় এবং পরে পিত্তে প্রসারণের পথে বাহির হয়। বিলিরুবিন এর অধিকাংশ পিত্তে প্রসারণ হয় এবং তারপর মূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে আসে। সম্পূর্ণ প্রস্তুতির প্রক্রিয়াটি সাধারণত প্রতি দিনে ঘটে, এবং বিলিরুবিন প্রসারণের বিশেষত্ব কোনও ব্যক্তিগত স্থিতি নয়, বরং এটি শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রমের একটি অংশ।

বিলিরুবিন এর স্বাভাবিক মাত্রা

স্বাভাবিকভাবে বিলিরুবিনের পরিমাণ বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে বিশেষ করে ব্যক্তির বয়স, লিঙ্গ, পুরো স্বাস্থ্য অবস্থা এবং অন্যান্য কারক। সাধারণত, স্বাভাবিক রক্তের বিলিরুবিনের পরিমাণ নিম্নমাত্রা থেকে শুরু করে উচ্চমাত্রার মধ্যে হতে পারে, যা নিম্নতর সীমার জন্য ১ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার (mg/dL) এবং উচ্চতর সীমার জন্য ১.২ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার (mg/dL)। তবে, এই মাত্রা আপনার বিশেষ শরীরের অবস্থা, চিকিৎসার নীতিগুলি এবং অন্যান্য পরিস্থিতিগুলির উপর নির্ভর করে।  

জন্ডিস বা অন্যান্য মেডিকেল অবস্থার ক্ষেত্রে, বিলিরুবিনের মাত্রা সাধারণত বেশি হয় যা একটি মেডিকেল পেশাদার দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা উচিত। সতর্কতা বাছাই করা উচিত যে কোনও অস্বাভাবিক বিলিরুবিনের মাত্রা হতে, কেন এবং পরিবর্তন হতে পারে, তার জন্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুশীলন করা প্রয়োজন।

বিলিরুবিনের মাত্রা কত হলে জন্ডিস হয়

জন্ডিস হলো একটি অবস্থা যেখানে রক্তের বিলিরুবিনের মাত্রা এত বাড়ে যে এটি শরীরের বিভিন্ন অংশে জমা হয় এবং সেখানে নির্ভরযোগ্য পরিমাণের অতিরিক্ত বিলিরুবিন অনুপ্রবাহ ঘটায়, যা প্রকাশিত হলে পীলিয়া বা জন্ডিসের চিহ্ন প্রকাশ হয়। 

সাধারণত, জন্ডিস বা পীলিয়া হওয়ার জন্য বিলিরুবিনের মাত্রা নরমাল সীমা অতিক্রম করতে হয়। এই সীমার জন্য বিভিন্ন সীমা নির্ধারিত থাকতে পারে, তবে সাধারণত রক্তের বিলিরুবিনের মাত্রা আমাদের উল্লেখিত সীমা অতিরিক্ত বাড়াতে হয়। এটি সাধারণত ২.৫ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার (mg/dL) এর উপরে হলে হিমবর্ণ জলাবদ্ধ হওয়ার প্রাথমিক চিহ্ন। 

একজন মেডিকেল পেশাদার জন্ডিস নিশ্চিত করার জন্য অন্যান্য পরীক্ষা এবং অনুসন্ধান সহায়ক হতে পারে, যেমন পীলিয়া রঙের ব্যবহার, বিলিরুবিনের গণনা, জন্ডিস পরীক্ষা, লিভার ফাংশন টেস্ট, অ্যালকালাইন ফসফাটেজের পরীক্ষা, অ্যালটিমেট সিরাম বিলিরুবিনের পরীক্ষা ইত্যাদি। এই পরীক্ষা এবং অনুসন্ধানের ফলাফলের উপর নির্ভর করে ডাক্তার জন্ডিস বা পীলিয়া রোগ নিশ্চিত করেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url